ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ভাসমান বা অস্থায়ীভাবে বসবাসরতদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
শামসুল হক বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশনা অনুযায়ী ভাসমান জনগোষ্ঠীকে টিকা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে ভাসমান জনগোষ্ঠীর তালিকা তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, ভাসমান জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কয়েকটি এনজিও কাজ করে। এনজিও ও দুই সিটি করপোরেশন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন নিয়ে আমরা আগামীকাল টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করব। এই কর্মসূচি কমলাপুর রেলস্টেশনে উদ্বোধন করা হবে।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছি। এই তালিকায় ২ লাখ ৮৫ হাজার ভাসমান জনগোষ্ঠীর নাম রয়েছে। এটি কম হতে পারে, বেশিও হতে পারে।
এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন যে দেশের ভাসমান জনগোষ্ঠীকে জনসনের টিকা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, জনসনের টিকা এক ডোজের হওয়ায় আমরা সেগুলো ভাসমান ও দিনমজুরদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তাদের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকায় তাদের খোঁজ সবসময় পাওয়া যায় না। একবার এক ডোজ দিয়ে দিলে পরে তাদের আর খুঁজতে হবে না।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ডোজ করোনা টিকা দেশে এসেছে। অন্যান্য টিকার মতোই এই টিকা ইপিআইয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এই টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্য কোম্পানির টিকা যেখানে অন্তত দুই ডোজ দিতে হয়, জনসনের তৈরি এই করোনাভাইরাসের টিকা এক ডোজের। অবশ্য পরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
গত বছরের জুনেই জনসনের কোভিড টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল বাংলাদেশ।
জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরীক্ষামূলক প্রয়োগে জনসন অ্যান্ড জনসনের এই টিকার ৬৬ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছিল। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে করোনা প্রতিরোধে কার্যকারিতার হার ছিল ৭২ শতাংশ। তবে করোনার নতুন ধরনগুলোর বিরুদ্ধে এ টিকার কার্যকারিতা পরে ততটা পাওয়া যায়নি।