ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় ঢাকা নগর পরিবহনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আরও তিনটি রুট চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২১তম সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার ২১তম সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, নতুন তিনটি যাত্রাপথের প্রথমটি হলো ঘাটারচর থেকে ফার্মগেট হয়ে ভুলতা পর্যন্ত। দ্বিতীয়টি হলো ঘাটারচর থেকে বসিলা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত; তৃতীয়টি হলো ঘাটারচর থেকে কাকরাইল হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত। এ তিনটি নতুন রুটে আমাদের ঢাকা নগর পরিববহনের কার্যক্রম শুরু হবে। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আগে একটি করে রুট আমরা নির্ধারণ করতাম। এখন আমরা একসঙ্গে নতুন তিনটি রুটের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। ঢাকা নগর পরিবহনের সবুজ রঙের বাসের আটটি রুটের মধ্যে প্রথমে একটি করেছি, এখন বাকি তিনটি রুটে চালু করতে পারলে অন্যান্য কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে। এভাবে পুরো ঢাকা শহরে আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশন নিয়ে কাজ করব।
বেআইনিভাবে অনুমোদনহীন কোনো বাস চলতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ডিএমপি ও বিআরটিএ যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে আমরা আরও কঠোর হব। এরপর থেকে আমরা বাস শুধু জব্দ করব না, বিনষ্টও করব। জব্দ করা বাস প্রথমে শাহবাগে পুলিশের হেফাজতে থাকবে। এরপর সেখানে থেকে মাতুয়াইল ভাগাড়ে নিয়ে ধ্বংস করা হবে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগে ঢাকা নগর পরিবহনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ঘাটারচর টু কাঁচপুর রুটে বিআরটিসির ৩০টি বাস এবং ট্রান্স সিলভার ২০টি বাস নিয়ে ঢাকা নগর পরিবহনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও পরে এ রুটে মোট ১০০টি বাস চলাচলের কথা রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক রুটভিত্তিক কোম্পানির অধীনে বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। পরে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি ১১টি সভা করেছেন। এরপর নতুন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস কমিটির দায়িত্ব পান।