অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি থমকে গেছে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ১৯৩০ সালের ভয়াবহ মন্দার মতোই আরেকটি মহাবিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি।
জেনেভা ভিত্তিক বৈশ্বিক বাণিজ্যের নজরদারির দায়িত্বে থাকার এই সংস্থাটি জানিয়েছে, সবচেয়ে আশাপ্রদ পরিস্থিতিতেও ২০২০ সালে বাণিজ্য হ্রাস পাবে ১৩ শতাংশ, যা ২০০৮-৯ সালের ব্যাংকিং সংকটের কারণে তৈরি হওয়া মন্দার সনয়ের চাইতেও বেশি।
আর যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়, তাহলে এটি ৩২ শতাংশ পর্যন্তও হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটি। যেরকম হয়েছিল ১৯২৯ এবং ১৯৩২ সালে।উন্নত দেশগুলোর রক্ষণাত্মক নীতি গ্রহণ করাই ছিলো ১৯৩০ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্য ধসে পড়ার পেছনের কারণ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান রবার্তো আজেভেদো সতর্ক করে বলেন, কোভিড-১৯ ঠেকাতে আরোপ করা বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে পরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। তবে দ্রুত এবং শক্তভাবে ফিরে আসা হয়তো সম্ভব। এখন আমরা কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি তার ওপরেই নির্ভর করবে এই মহামন্দা থেকে বের হয়ে আসা এবং বিশ্ব অর্থনীতির নতুন চেহারা।
মহামারির প্রভাব কমিয়ে আনতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ বন্ধ হওয়া জরুরি বলেও মনে করেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এমন ভিত্তি গড়তে হবে, যা সামাজিক অন্তর্ভুক্তিমূলক, শক্তিশালী এবং টেকসই। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য একটি বড় উপকরণ, সেই সঙ্গে বার্ষিক পরিকল্পনা ও মুদ্রানীতি।বাজারকে রাখতে হবে মুক্ত এবং আন্দাজযোগ্য।
এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী বছরের মধ্যেই বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের আশা দেখছে সংস্থাটি। তবে তা কত দ্রুত আর কত শক্তভাবে হবে তা বলা কঠিন। এই মহামারি কত দিন চলবে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতখানি কার্যকর নীতি নেয়া হচ্ছে, তার ওপরেই নির্ভর করছে সব।
আজেদেভো বলেন, প্রথমত এবং প্রধানত এটি একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক সংকট। যার কারণে মানুষের জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন দেশের সরকার অভূতপূর্ব সব পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে।