অর্থনীতি ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সময়ে মেয়াদপূর্তি হওয়া সঞ্চয়পত্র নগদায়ন ও মাসিক মুনাফার অর্থ গ্রাহকেরা তুলতে পারবেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছিলো। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকেদের হিসাবে কোনো মুনাফা জমা হচ্ছে না। তারা ব্যাংকে গিয়েও ফিরে আসছেন।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর গ্রাহকদের হিসাবে মুনাফার টাকা পাঠাচ্ছে না বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় বিপদে পড়েছেন পেনশনধারী, স্বল্প আয়ের নারী গ্রাহক থেকে শুরু করে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকই। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর এবং একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে এ পরিস্থিতির কথা জানা গেছে।
গত বছরের জুলাই থেকে প্রতি মাসের শুরুতেই ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে মুনাফার টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়ে আসছে। যার ফলে কাউকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফাবাবদ নগদ টাকা দেওয়া হয় না। কিন্তু এ মাসে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে কোনো টাকা জমা হয়নি।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্র মূলত এই চার ধরণের সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক দেশে বেশি।
তেমনি এক সঞ্চয়পত্রের গ্রাহক জানান, ’মুনাফার টাকা তোলার জন্য প্রতি মাসের শুরুর দিকে ব্যাংক থেকে এসএমএস পাই। এবার এখনো পাইনি। ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি জানতে চাইলে টাকা জমা হয়নি বলে জানান তারা।’
মুনাফার টাকা তাহলে আছে কোথায়? ব্যাংক হিসাবে জমা হচ্ছে না কেন? ব্যাংক তো খোলা! এটা কি ব্যাংক খাতের কোনো সমস্যা নাকি এই সময়ে নিজের প্রয়োজনে টাকা ধরে রেখেছে সরকার? এসব প্রশ্ন শুধু গ্রাহকের যে তা নয়, এই প্রশ্ন বিশ্লেষকদেরও।
তবে গ্রাহেকর ভোগান্তির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের একজন জানান অতিদ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।