ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে দরপতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৫৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। এতে কমেছে মূল্যসূচক। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
বরাবরের মতো এদিনও ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের আধাঘণ্টা ও দুই ঘণ্টার মাথাতেও সূচকটি বাড়ে ৬ পয়েন্ট।
তবে শেষ আড়াই ঘণ্টায় দরপতন হয় একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৩১ কোটি ৭ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ২৪১ কোটি ৭৭ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২২১টির। আর ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৫ কোটি ৩৮ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রহিমা ফুড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, সোনালী পেপার, স্যালভো কেমিক্যাল, ইয়াকিন পলিমার এবং ইউনিক হোটেল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮২টির এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।