ভোক্তাকন্ঠ প্রতিবেদক: পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে।গত ৭ এপ্রিল জিরো আওয়ার থেকে কেন্দ্রর রিল্যায়েবেলিটি টেস্ট (নির্ভরযোগ্য উৎপাদন ক্ষমতা) শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল) নিশ্চিত করেছে যে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াটের স্থলে ৬৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে।আর পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফল হওয়ার পর গত ১৩ এপ্রিল পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইনিশিয়াল অপারেশন ডেট (আইওডি) ঘোষণা করেছে।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতিতেও কেন্দ্রটির উৎপাদন ঠিক রেখেছি। প্রথম ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট হলেও এখন আমরা ৬৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে গ্রিডে সরবরাহ করেছি।’
উল্লেখ্য যে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দু’টি ইউনিট রয়েছে। আর প্রতিটি কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট করে। এর প্রথম ইউনিট যখন বাণিজ্যিক উৎপাদনের ছাড় পায় সে দিনটিকে বলা হয় আইওডি। আর দ্বিতীয় ইউনিট যখন বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে সেদিনটি হচ্ছে কর্মাশিয়াল অপরাশেন ডেট (সিওডি)।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করা হয় ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, ‘আমরা সব দিক দিয়েই প্রস্তত। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে এখন বিদ্যুতের চাহিদা কম। আমরা কেন্দ্রটিকে চালিয়ে দেখিয়েছি। এখান থেকে ৬৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।এছাড়া বিসিপিসিএল আরো একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি এপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি) মিলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে।