ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পুলিশের মারধরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে দাবি করে কয়েক হাজার মানুষ সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এ কারণে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ। সোমবার বেলা ২টা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৪টা) অবরোধ অব্যাহত ছিল।
অবরোধকারীদের শান্ত করতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন। পরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি। তার গাড়ি মরদেহের ওপর দিয়ে এসেছে, এমন কথা ঘটনাস্থলে প্রচার হওয়ায় আরও বিক্ষুব্ধ হয় মানুষ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তালুকদার জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন গ্রামের উজির মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গরু চোর সন্দেহে পুলিশ আটক করে। পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি জামিন লাভ করেন তিনি। তবে পুলিশের মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়েন উজির মিয়া। তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সোমবার সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানার এস আই আলাউদ্দিন, এসআই দেবাশীষ, এসআই পার্ডন কুমার সিংহের বিচারের দাবিতে উজির মিয়ার মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুজ্জামান বলেন, উজির মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ওখানে গিয়েছিলাম আমি। লোকজন আমার ওপর চড়াও হলে আমি দ্রুত ওখান থেকে চলে আসি।
তিনি জানান, তার গাড়ি মরদেহের ওপর দিয়ে আসেনি।