ভোক্তাকন্ঠ প্রতিবেদন: বৈশিক করোনা মহামারীতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় লাখেরও বেশি। বাংলাদেশ সময় ১৮ এপ্রিল শনিবার ভোরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। বিশ্বের প্রায় ১৮৫ টি দেশ ও অঞ্চল এই মহামরীতে আক্রান্ত এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৫ জন। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রান হারিয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮ জন।
গত বছরে ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। চীনে ৮৩ হাজারের বেশি আক্রান্ত হলেও বর্তমানে অন্যান্য দেশের তুলনার এর প্রভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে এই ভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা করে।
এই ভাইরাস প্রতিরোধে এখনও কেনো টিকা আবিস্কৃত হয়নি, নেই নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ। ফলে থমকে যাওয়া বিশ্বে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে, যা কতদূর যাবে তা এখনও অনিশ্চিত।
ইউরোপে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির পর এখন যুক্তরাষ্ট্র বিপর্যস্ত নভেল করোনাভাইরাসে। এরপর আফ্রিকা এই মহামারীর নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ২ হাজার ১৮৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ হাজার ১৫৭ জনের। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ৭৪৫। আর আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ৪৩৪ জন।
মৃতের হিসাবে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬১৩। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৮৮ হাজার ৯৩।উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৬৩২ জন।
প্রাদুর্ভাবের চার মাস পর গত ১০ এপ্রিল কোভিড-১৯ রোগে বিশ্বেজুড়ে মৃতের সংখ্যা এক লক্ষ ছুঁয়েছিল। তার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু এই সংখ্যাকে দেড় লাখ ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। আর এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৭২ হাজার ১১ জন।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতে ডব্লিউএইচও আক্রান্তদের মধ্যে ২ শতাংশের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল।
কিন্তু তা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। এরপর পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ দেখে ৩ মার্চ বলেছিল, মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশে যেতে পারে। আবার মৃতের সংখ্যা যখন লাখ ছাড়াল, তখন দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৬ শতাংশ মৃত্যুর করাল গ্রাসে পড়ছে। অবশেষে মৃতের সংখ্যা যখন দেড় লাখ ছাড়াল, তখন দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ মারা যাচ্ছে।