ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
দেশে গ্যাসের সিস্টেম লস গড়ে ৫ ভাগ। অর্থাৎ প্রতিদিন ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস লোকসান হচ্ছে। বিশাল এই লোকসান কমানো গেলে দাম না বাড়ালেও চলতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে দেশে। এরমধ্যে দেশের ক্ষেত্রগুলো থেকে ২ হাজার ২৮৯ মিলিয়ন ঘনফুট তোলা হচ্ছে। আমদানি করা হচ্ছে ৭৭০ মিলিয়ন ঘনফুট। স্পট মার্কেট থেকে আমদানি হচ্ছে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকিটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে কিনে আনা হচ্ছে।
দেশের গ্যাসক্ষেত্র থেকে যে গ্যাস তোলা হচ্ছে তার দাম বাড়েনি। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় যে এলএনজি আনা হচ্ছে তার দামও বাড়েনি। কিন্তু প্রতিদিন যে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করা হচ্ছে তার দাম অনেকটা বেড়েছে। সর্বশেষ ৪৫ ডলার করে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনা হচ্ছে।
জানতে চাইলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য (গ্যাস) মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, এখন আমরা যে গ্যাস দেশ থেকে তুলছি তার দাম যেমন বাড়েনি। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় যেটা কেনা হচ্ছে সেটার দামও বাড়েনি। কিন্তু মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির জন্য দাম বাড়াতে হচ্ছে। আমরা স্পট থেকে গ্যাস না এনে দেশের সিস্টেম লস কমাতে পারি। এজন্য প্রি-পেইড মিটারে জোর দেওয়া জরুরি। দেশের খনিগুলো থেকে কিছু কিছু করে উৎপাদনও বাড়াতে পারি, তাহলে আর এই মুহূর্তে দাম বাড়াতে হতো না।
পেট্রোবাংলা বলছে, আমদানিকৃত এলএনজির সঙ্গে দেশীয় গ্যাসের মিশ্রণ শেষে গড় খরচ দাঁড়াবে ৬৫ হাজার ২২৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এই টাকা ভোক্তাদের কাছ থেকে তুলতে হলে দর ২০.৩৫ টাকা নির্ধারণ করা জরুরি। এই দর দৈনিক ৮৫০ এমএমসিএফ এলএনজি আমদানি বিবেচনায় ধরা হচ্ছে। আমদানি বাড়তে থাকলে গড়মূল্যও বেড়ে যাবে সেই হারে।
গ্যাসের দাম বাড়াতে ২১ মার্চ গণশুনানির আয়োজন করছে বিইআরসি। এদিকে ইউক্রেন সংকটে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে সব ধরনের জ্বালানির দাম। এর আগে গতবছরের নভেম্বরে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল।