অনলাইন ডেস্ক: ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কালোবাজারে পাচার, ওজনে কারচুপি সহ নানা অভিযোগে ৮ প্রতিষ্ঠানের ডিলারশীপ বাতিল করেছে টিসিবি।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের তেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ সারাদেশে ৪০০ স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী, ডিলার ও টিসিবির কর্মকর্তার যোগসাজশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে বিক্রির বরাদ্দকৃত পণ্য কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে টিসিবির নিজস্ব কোনো তদারকিই নেই। তবে প্রশাসনের সহযোগিতায় কালোবাজারির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই দিনে আট ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্তসহ জরিমানা করেছে টিসিবি।
টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার (২২ এপ্রিল) মাদারীপুরের ক্যাম্প অফিসের অধীনে মাদারীপুরের রাজৈর বাজারের মেসার্স কবিরাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম রাব্বি এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মেসার্স নিলু স্টোরের মালিক নিলু সরদারের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
একই অপরাধে গত ২০ এপ্রিল রাজশাহীর পবার মেসার্স শফিকুল ইসলাম খানের মালিক শফিকুল ইসলাম খান, নেত্রকোনার কেন্দুয়ার মেসার্স মোজাহিদ স্টোরের মালিক মো. মোজাহিদুল ইসলাম, জামালপুরের ইসলামপুরের মেসার্স মীর নুরুল ইসলামের মালিক মো. নুরুল ইসলাম, একই এলাকার মেসার্স রেজাউল ইসলামের মালিক মো. রেজাউল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের সদরের মেসার্স হক ট্রেডার্সের মালিক মো. এনামুল হক এবং পাবনার ঈশ্বরদীর সরকার ট্রেডার্সের মালিক উৎপল কুমার সরকারের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এছাড়া টিসিবির পণ্যে ওজনে কারচুপির কারণে বুধবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন টিকাটুলির মেসার্স আঁখি মনি ট্রেডার্সের মালিক মো. আয়ুব আলীকে এবং দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর মেসার্স হক ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিককে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। টিসিবি ডিলারশিপের জন্য জামানত হিসেবে রাখা ১৫ হাজার টাকা করে দুই প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠান প্রতি কেজি টিসিবির মসুর ডালের ওজন ৫০ গ্রাম করে কম দিয়ে বিক্রি করছিল।
এ বিষয়ে সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম বা অবৈধ মজুত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ডিলারের মাধ্যমে এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। টিসিবির এ সব পণ্য বিক্রয় ও তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং ক্রেতা সাধারণের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।