অনলাইন ডেস্ক: রোজার পণ্য খালাস করে নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। আজ রোববার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
পবিত্র রমজান মাসে বাজারে পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখার লক্ষ্যে এই চিঠি দেওয়া হয়। পণ্য খালাস করার জন্য আমদানিকারকদের কাছে প্রথমবারের মত চিঠি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর সুত্রে জানা যায়, বন্দর চত্বরে যাদের আমদানি করা পণ্য রয়েছে তা খালাসের জন্য তাদের কাছে পৃথক পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। এছাড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার এবং পণ্য খালাসে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাছেও এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের হিসেব বলছে, রোববার বন্দরে এক হাজার ৪৭৩ টন পেঁয়াজ, ৪৭৫ টন আদা, ৮৫০ টন রসুন রয়েছে। এ ছাড়া ৫৭ হাজার ৫০০ টন তাজা ফল রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বন্দরে এখন ৪৩ হাজার ৭৪০ একক কনটেইনার পড়ে আছে, যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি।আবার এর মধ্যে অনেক রোজার পণ্য রয়েছে।করোনার প্রভাবে পণ্য খালাস কমে যাওয়ায় কারনে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার ওপরে। অথচ প্রতিকেজি আদা আমদানিতে খরচ মাত্র ৯৮ টাকা। বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাব বলছে বন্দরে এখন পৌনে পাঁচ লাখ কেজি আদা পড়ে আছে। এমতাবস্থায় আদা আমদানিকারক মেসার্স খাতুনগঞ্জ ট্রেডিং, মেসার্স তানজিল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সাবরিন এন্টারপ্রাইজের কাছে চিঠি দিয়ে এসব আদা খালাস করতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, করোনা মহামারীর কারনে কাস্টমস এর কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেও অন্য সংস্থাগুলোর কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। যার ফলে পন্য খালাস করতে সময় লাগছে।