আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে ইতোমধ্যে। তারল্য সংকটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। রাজধানী কলম্বোয় পরীক্ষার খাতার কাগজ ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশটির পশ্চিমা প্রদেশের লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। মূলত তারল্য সংকটের কারণেই কাগজের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
শ্রীলঙ্কার শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (২১ মার্চ) থেকে শুরু হতে যাওয়া এক সপ্তাহের নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কাগজের সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের কবলে পড়েছে শ্রীলঙ্কা।পশ্চিমাঞ্চলীয় শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, দেশের স্কুলগুলোর অধ্যক্ষরা কোনও অবস্থাতেই পরীক্ষা নিতে পারবেন না। কারণ কাগজ ছাপানোর জন্য যেই অর্থের প্রয়োজন তা নেই।
নবম, দশম এবং একদাশ শ্রেণীর পরীক্ষাগুলো বছরের শেষ দিকে নেওয়া হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের পরবর্তী গ্রেডে উন্নীত করা হবে কিনা এর উপর মূল্যায়ন হয়ে থাকে।
গত সেপ্টেম্বরে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। এর ফলে মৌলিক খাদ্যপণ্য সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ ও বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায় সরকার। জানুয়ারিতে দেশটির মূল্যস্ফীতি ১৪.২ শতাংশে পৌঁছায়। দক্ষিণ এশীয় দেশটির পর্যটন খাত থেকে আসা ডলারের প্রবাহ কমে গেছে মহামারিতে। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর আগে থেকেই শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ সর্বোচ্চ ও অস্থিতিশীল পথে ছিল।
সূত্র: আল জাজিরা।