সম্পাদকীয়: প্রতিবছর রমজান মাস এলেই বাড়তে থাকে দ্রব্যমূল্যের দাম। অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ধর্মীয় উৎসব-সংস্কৃতিতে দ্রব্যমূল্যের দাম থাকে ভোক্তাদের হাতের নাগালে আর তা অবশ্যই সারা বছরের দামের চেয়ে কম। কিন্তু বাংলাদেশেই পরিস্থিতি টা ভিন্ন। রমজান মাসে দাম বৃদ্ধি যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের বাজার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ বারবার বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও তা কথাতেই থেকে যায়। ভোক্তারা আজ তাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে মূল্য ঠিক রাখার চেষ্টা করলেও অতিলোভী, মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের কাছে যেন জিম্মি ভোক্তারা। আর তাই ডাল, তেল, চিনি, আঁদা, পেঁয়াজ সহ নানা পণ্যমূল্য ভোক্তাদের হাতের নাগালের বাইরে।
এবছর আবার করোনার থাবা। মানুষের আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে কারো বা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে অসহায় ভোক্তারা। এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীদের মানবিক হওয়া উচিত। সরকারের নজর দেয়া উচিত পণ্য উৎপাদন, পণ্য সরবরাহ ও ন্যায্য মূল্যের দিকে।
যদিও করোনার কারণে দেশীয় অনেক শিল্প উৎপাদন বন্ধ। অনেক পণ্য আটকে আছে স্থল ও সমুদ্র বন্দরে। এসব উৎপাদনমূখী শিল্পে ও পণ্য খালাসে সরকারের এখনই নজর দেয়া উচিত।
বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পণ্য উৎপাদন ও আমদানির জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত পরিসরে অব্যাহত রাখা সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলেও পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে ভেজালমুক্ত ও ন্যায্যমূল্যে পণ্য ভোক্তাদের মাঝে পৌছে দেয়াই সরকারের চ্যালেঞ্জ।