ভোক্তাকন্ঠ ডেস্কঃ
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ঢালাও সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছরে ঋণ পরিশোধে ছিল বিশেষ ছাড়। তারপরও খেলাপি ঋণ কমছে না। এ কারণে কাগজে-কলমে খেলাপি আড়াল করতে ব্যাংকগুলো ‘ঋণ অবলোপন’ বা ‘রাইট অফ’ কৌশল বেছে নিয়েছে। একই সঙ্গে গণহারে খেলাপি ঋণের সুদও মওকুফ করছে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে অবলোপনের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে দুই হাজার ৪৪১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বাদ দেওয়া হয়েছে। এর আগের বছরের তুলনায় যা আড়াই গুণ বেশি। ২০২০ সালে অবলোপন করা হয় ৯৭১ কোটি টাকা।
২০১৯ সালে কাগজে–কলমে খেলাপি ঋণ বাদ দিতে অবলোপন করা হয়েছিল দুই হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে গত চার বছরে ব্যাংকগুলো অবলোপনের মাধ্যমে নয় হাজার ৩৭৭ কোটি টাকার মন্দ ঋণ ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দিয়েছে।
২০২১ সালে অবলোপনের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট থেকে দুই হাজার ৪৪১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে অবলোপন করা হয় ৯৭১ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে দুই হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালে তিন হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে গত চার বছরে ব্যাংকগুলো অবলোপনের মাধ্যমে নয় হাজার ৩৭৭ কোটি টাকার মন্দ ঋণ ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দিয়েছে
গত ৪ বছরে অবলোপনের মাধ্যমে ৯৩৭৭ কোটি টাকার মন্দ ঋণ ব্যালেন্স শিট থেকে মুছে ফেলেছে।
এ বিষয়ে কথা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ঋণ আদায় না করে যদি ‘রাইট অফ’ কৌশল বেছে নেওয়া হয় তাহলে একসময় ব্যাংকের মূলধনও শেষ হয়ে যায়। তাই এটাকে ভালোভাবে নেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, যদি এমন হতো ব্যাংকগুলো ‘রাইট অফ’ করে জোর দিয়ে ঋণ আদায় করছে, তাহলে এ উদ্যোগ আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখতাম। কিন্তু তারা শুধু ব্যালেন্স শিট ঠিক রাখতেই ‘রাইট অফ’ করছে। ফলে বাইরে থেকে লোকজন মনে করছে তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো। আসলে কিন্তু তা নয়।
‘খেলাপি ঋণ কমাতে অবশ্যই ঋণ আদায়ে জোর দিতে হবে’— এমন পরামর্শ দিয়ে সাবেক এ গভর্নর আরও বলেন, ব্যাংকগুলোকে ঋণ আদায়ের টার্গেট দিতে হবে। টার্গেট পূরণ করতে না পারলে ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা কমিয়ে দিতে হবে। তাদের বলতে হবে, যতটুকু ঋণ আদায় করতে পারবে ততটুকু ঋণ দিতে পারবে। তা না হলে খেলাপি ঋণ কমানো সম্ভব নয়।