নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
দেশে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ সংখ্যা কতো তা জানে না তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এজন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্যও চায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে অবৈধ সংযোগ চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
বুধবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটরিয়ামে তিতাসের প্রস্তাবিত গ্যাসের দামের ওপর গণশুনানি হয়। শুনানির তৃতীয় দিনে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাবনা উত্থাপন করে তিতাস।
তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে গ্রাহক পর্যায়ে মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা প্রস্তাব করা হয়। যার বর্তমান মূল্য ১২ টাকা ৬০ পয়সা।
এ প্রস্তাবের বিপরীতে ভোক্তা পর্যায়ে মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা করার সুপারিশ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি।
অন্যদিকে মিটারবিহীন ২ চুলার জন্য মাসিক বিল ২ হাজার ১০০ টাকা ও ১ চুলার জন্য ২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে তিতাস। এ প্রস্তাবের বিপরীতে মিটারবিহীন ১ চুলার জন্য ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা ও দুই চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা সুপারিশ করা হয়।
এরপর তিতাসের বেশকিছু অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহকে জেরা করেন ক্যাবের উপদেষ্টা শামসুল আলম।
তিনি প্রশ্ন করেন, আপনার আওতাভুক্ত এলাকায় ঠিক কী পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ আছে তা কি চিহ্নিত করতে পেরেছেন?
উত্তরে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, না।
পরে ক্যাব উপদেষ্টা প্রশ্ন করেন, আপনি কি কখনো এজন্য সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন?
উত্তরে এবারও তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, না।
এসময় শামসুল আলম বলেন, আপনারা গ্যাসের অবৈধ সংযোগ চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ চাইবেন। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগানো হোক।