অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে বাড়তি সময় পেয়েও আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার খালাস না নিয়ে বন্দরে ফেলে রেখেছিলেন পোশাকশিল্প মালিকেরা। এসব কনটেইনার বন্দরে রাখার ভাড়ায় আবারও ছাড় পেলেন তারা। সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে বন্দর কর্তৃপক্ষ পোশাকশিল্প মালিকদের সুবিধা দিয়ে এই আদেশ জারি করেছে।
বন্দরের সাম্প্রতিক এক হিসেবে দেখা যায়, বন্দর দিয়ে কনটেইনারে আমদানি হওয়া পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি। এই হার মোট আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ। পোশাকশিল্প মালিকেরা সুবিধা পেলেও সরকারি সংস্থার কারণে সবচেয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হওয়া বাণিজ্যিক আমদানিকারকেরা কোনো ছাড় পাচ্ছেন না।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, ২৬ মার্চ সাধারণ ছুটির সময় থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি করা সব ধরনের কনটেইনার রাখার ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছিল। সাধারণ ছুটির কারণে বেশিরভাগ সংস্থার সেবার আওতা সীমিত করায় এই ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু ছাড় দেওয়ার সুবিধা নিয়ে উল্টো বন্দরে কনটেইনার ফেলে রেখে জট তৈরি করায় ২০ এপ্রিলের পর সে সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয় বন্দর। এখন আবার বিজিএমইএ’র চাপে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাভাবিক সময়ে জাহাজ থেকে নামানোর পর চারদিন পর্যন্ত বিনাভাড়ায় কনটেইনার রাখা যায় বন্দরে। এরপর প্রথম ধাপে প্রতিটি কনটেইনারে ছয় ডলার, দ্বিতীয় ধাপে ১২ ডলার এবং শেষধাপে ২৪ ডলার করে ভাড়া দিতে হয়।
পোশাকশিল্প মালিকেরা ছাড় পেলেও অন্য আমদানিকারকেরা তা পাচ্ছেন না। অথচ সাধারণ ছুটির সময় রাজস্ব বোর্ডের নিষেধাজ্ঞার কারণে ২৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা ২৭ দিন বাণিজ্যিক আমদানিকারকেরা পণ্য খালাস করতে পারেননি। যখন কাস্টমস থেকে পণ্য খালাসের সুযোগ দেওয়া হয় তার আগে বন্দরে কনটেইনার রাখার ভাড়ায় ছাড়ের সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এতে বাণিজ্যিক আমদানিকারকেরা খালাস নেওয়ার আগেই বন্দর ও জাহাজ কোম্পানির ভাড়াসহ প্রতিটি কনটেইনার সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার মতো অতিরিক্ত খরচ যুক্ত হয়েছিল।