ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিম কর্তৃক ঢাকা মহানগরীর চকবাজার থানাধীন ডালপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তিন প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল।
এ সময় ডালের মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করে ইচ্ছামত দাম নেওয়ার অপরাধে মহিউদ্দিন স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স রাজ্জাক বিতানকে ২০ হাজার টাকা এবং মেসার্স আজাদ ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকাসহ ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য বাজারে পর্যাপ্ত ডালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং দাম নিম্নমুখী।
সরেজমিনে দেখা যায়:
১। দেশি মুসুরির ডাল ক্রয়মূল্য ১১৮ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১১৮ টাকা।
২। বোল্ডার মসুরি ক্রয়মূল্য ৮৫ টাকা, বিক্রয়মূল্য ৮৬ টাকা
৩। ফাটি মসূরি ক্রয়মূল্য ৭৯ টাকা, বিক্রয়মূল্য ৮০ টাকা
৪। এংকার ডাল ক্রয়মূল্য ৪১ টাকা, বিক্রয়মূল্য ৪২ টাকা
৫। ডাবলি ক্রয়মূল্য ৩৮.৫০ টাকা, বিক্রয়মূল্য ৩৯ টাকা
৬। বুটের ডাল ক্রয়মূল্য ৬৯ বিক্রয়মূল্য ৭০ টাকা
৭। ছোলা ক্রয়মূল্য ৭০ টাকা, বিক্রয়মূল্য ৬৮ টাকা।
অভিযান শেষে আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করা, প্রদর্শনকৃত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি থেকে বিরত থাকা, ওজন কম না দেয়া, রমযানকে কেন্দ্র করে অতি মুনাফা লাভ থেকে বিরত থাকার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বদ্ধপরিকর।
এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি, এমপি ব্যক্তিগতভাবে বাজার তদারকির খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উক্ত অভিযানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি সহায়তা প্রদান করেন।