ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার (২৮ মার্চ) সারা দেশে অর্ধদিবস (ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত) হরতাল পালন করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এই হরতালে কোনো ধরনের উসকানি দেওয়া থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জোটের নেতারা। ভোর ৬টা থেকে বাম জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা পুরানা পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেবেন এবং পিকেটিংয়ে যোগ দেবেন।
রোববার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, হরতালে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে এর দায়-দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলকে বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, ২৮ মার্চ ভোর ৬টা থেকে বাম জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা পুরানা পল্টনসহ ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেবেন এবং পিকেটিংয়ে যোগ দেবেন।
তেল, চাল, ডাল ও পেঁয়াজসহ খাদ্যদ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে এ হরতাল ডাকা হয়েছে। সুতরাং সব শেণিপেশার মানুষ এ হরতালকে সমর্থন দেবেন।
হরতাল সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, হরতাল সফল করতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দোকান মালিক, কর্মচারী, পরিবহন মালিক, পরিবহন শ্রমিকসহ সব স্তরের ও শ্রেণিপেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
দলমত নির্বিশেষে হরতালের সমর্থনে মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ্য করা গেছে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, তেল, চাল, ডাল ও পেঁয়াজসহ খাদ্যদ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে এ হরতাল ডাকা হয়েছে। সুতরাং সব শেণিপেশার মানুষ এ হরতালকে সমর্থন দেবেন।
ইতোমধ্যে হরতালের পক্ষে কয়েক লাখ প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে, পোস্টারও লাগানো হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, প্রচার মিছিল ও গণসংযোগ অব্যাহত রয়েছে। গণদাবির এ হরতালের পক্ষে দেশের মানুষের ব্যাপক সমর্থন ও সাড়া দেখা গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন।
রোববার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টন থেকে বিজয়নগর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। এর আগে পল্টন-মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বাম দলগুলো।
ভাসানী অনুসারী সংগঠনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে আরও অংশ নেন প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন, অটোরিকশা শ্রমিক নেতা মোজাম্মেল হক মাস্টার প্রমুখ।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল শেষে জোটের নেতারা বলেন, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণের নিজেদেরই রাস্তায় নেমে বাঁচার দাবি পূরণে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। হরতালের গণসংযোগ-প্রচার মিছিলে সরকার ও সরকারি দলের লোকজন হামলা, আক্রমণ ও বাধা দিয়ে সরকার ধারাবাহিক উসকানি দিয়ে আসছে। সরকারি দলের সন্ত্রাস উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে জোটের নেতাকর্মীদেরকে হরতাল সফল করার আহ্বান জানান তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন বাম জোটের শাহ আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাজেকুজ্জামান রতন, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, ইকবাল কবির জাহিদ, বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ।