ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: যানবাহনের তুলনায় ফেরি কম ও নাব্যতা সংকটে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চার কিলোমিটার এলাকায় ৪ শতাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। দীর্ঘ সময় মহাসড়কে অপেক্ষা করে চালক ও যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুর ৩টায় দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফিডমিল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের দুই লেনে ৪ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। অপেক্ষমাণ যানবাহনগুলোর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে ১১টি রো রো (বড়), ৬টি ইউটিলিটি (ছোট), ১টি কে-টাইপ এবং ২টি ডাম্পসহ (টানা) মোট ২০টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফেরি মেরামতের জন্য পাটুরিয়াতে ভাসমান কারখানায় রয়েছে। এ ছাড়া একটি ফেরি মাওয়াতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
কাভার্ড ভ্যান চালক ইয়াছিন আলী বলেন, ফেরির জন্য আমি মহাসড়কে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। চৈত্র মাসের সূর্যের যে তাপ তাতে খোলা আকাশের নিচে মহাসড়কে অপেক্ষা করায় কষ্ট। গরমে গাড়ির মধ্যে বসে থাকাও যায় না। গোসল, খাওয়া-দাওয়া, টয়লেটের খুব অসুবিধা হচ্ছে।
আরেক ট্রাক চালক নুরুল ইসলাম বলেন, বেনাপোল পোর্ট থেকে গতকাল বিকেলে গোয়ালন্দ মোড়ে আসলে সেখানে পুলিশ আটকে দেয়। পরে দীর্ঘ সিরিয়ালে চলে যায়। আজ সকালে গোয়ালন্দ মোড় থেকে সিরিয়াল ছাড়লে আবার ঘাটের কাছে এসে আটকে যায়।এখনো আমার সামনে ২শ ট্রাক। কখন ফেরির নাগাল পাব বলতে পারছি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ঢাকামুখী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ এবং বহরে ফেরির সংখ্যা কম থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে। তবে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ফেরির নাগাল পেতে সময় লাগলেও যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।