নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রত্যাশা অনুযায়ী সাপ্লাই এবং উৎপাদন কম থাকার কারণ জানতে বসুন্ধরা সয়াবিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা মাল্টি ফুড লিমিটেডের কর্তৃপক্ষকে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে তলব করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফরোজা রহমান স্বাক্ষতির এক চিঠিতে আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সয়াবিন তেলের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণের নিয়মিত মনিটরিং এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের পানগাও পোর্ট এলাকায় বসুন্ধরা মাল্টি ফুড লিমিটেড পরিদর্শন করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, ঢাকা জেলা প্রধান, উপ-পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল।
বসুন্ধরা মাল্টি ফুড লিমিটেড পরিদর্শনের সময় বসুন্ধরা সয়াবিনের গুণগত মান ও বোতলের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লিখা ঠিকমতো আছে কিনা তা ঝাচাই করে দেখেন। এছাড়া উৎপাদন, সাপ্লাই, মজুদ, আমদানীকৃত তেলের পরিমাণ এবং এসও ঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখেন।
পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বসুন্ধরা সয়াবিন গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭ হাজার মেট্রেক টন উৎপাদন করেছে। কিন্তু মার্চে এসে হঠাৎ করে উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে মাত্র ১৩ হাজার ৫২ মেট্রিক টন তেল উৎপাদন করে। যেখানে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের উৎপাদন ক্ষমতা ৬০০ মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোজ্যতেলের মিলসমূহে অনুসন্ধানমূলক তদারকি করছি। তাদের অসংগতি চিহ্নিত করছি। আমরা এসব অসংগতির আলোকে প্রতিবেদন তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেব। কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে সে যত বড়ই প্রতিষ্ঠান হোক না কেন ভোক্তা অধিকারের বিশেষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘গত ৯ মার্চ ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক মহোদয়ের সভাপতিত্বে মিল মালিক ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুসন্ধানমূলক তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২য় বারের মত বসুন্ধরা গ্রুপের সয়াবিন তেলের মিলে আজ তদারকি করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী উৎপাদন এবং সাপ্লাই না হওয়ায় আগামীকাল বুধবার লিখিতভাবে কারণ জানানোর জন্য কর্তৃপক্ষকে ভোক্তা অধিদপ্তরে তলব করা হয়েছে।
বসুন্ধরা মাল্টি ফুড লিমিটেডের ডিজিএম এ কে এম কামাল সিদ্দিকী বলেন, টিসিবি’র জন্য সয়াবিন তেল উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামালের একটি চালানের সমস্যা হওয়ায় মার্চে আমাদের উৎপাদন কমে গেছে। তবে দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আরইউ