ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন। এটি এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্ত হলেন ১০ হাজার ১৪৩ জন এবং দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮২ জনে।
আজ সোমবার দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য ব্রেফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারী ৫ জনের সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৩ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন। ৫ জনের মধ্যে ৩ জন ঢাকার, একজন সিলেটের এবং একজন ময়মনসিংহের।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সারা দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১২শ’ ৯ জন। সুস্থদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ১৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ১১ জন, ঢাকা মহানগর হাসপাতাল থেকে ৭ জন, রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতাল থেকে ১৩ জন, লালকুঠি হাসপাতাল থেকে ৪ জন, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৪ জন; ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ ছিল ৬ হাজার ৩১৫টি। আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ হাজার ২৬০টি। এই নমুনা সংগ্রহ আগের দিনের চেয়ে ২১ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি এবং নমুনা পরীক্ষা গতদিনের চেয়ে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৮৭ হাজার ৬৯৪টি।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৯০ জনকে, এখন পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৬৩৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯১ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১৭৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৭৪২ জনকে। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৪ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৪৮ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৪০১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪১ হাজার ৯৩৩ জন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ’ঢাকা শহর এবং ঢাকা বিভাগেই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত। এরপর চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ। ঢাকা শহরের পর সর্বাধিক পাওয়া গেছে ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জে, চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, সিলেটের হবিগঞ্জ, রংপুর বিভাগের রংপুর জেলা, খুলনা বিভাগের যশোর জেলা, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলা, বরিশাল জেলা ও রাজশাহীর জয়পুরহাট জেলায় সর্বাধিক সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন।’