দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি,
দিনাজপুরে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত দেশের প্রাচীনতম হিলি রেলস্টেশনটিকে আবারও জনবল-সংকটের কারণ দেখিয়ে ক্লোজিং ডাউন (কার্যক্রম বন্ধ) ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে সব ট্রেন প্ল্যাটফর্মের ১ নম্বর লাইনে না দাঁড়িয়ে ২ নম্বরে দাঁড়াচ্ছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। লাইন থেকে ট্রেন অনেক উঁচু হওয়ায় ট্রেনে ওঠা-নামা করতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় হিলি রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনের কার্যক্রম ‘ক্লোজিং ডাউন’ ঘোষণার পর থেকে এই স্টেশনে স্টপেজ থাকা ট্রেনগুলো চালকের নিজ ইচ্ছায় স্টেশনে ২ নম্বর লাইনে থামানো হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর ও পাঁচবিবি রেলস্টেশন থেকে।
আরও দেখা যায়, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিজের ইচ্ছায় ২ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ট্রেনটিতে থাকা যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে ঝুলে স্টেশনে নামছে। অন্যদিকে এই স্টেশন থেকে চিলাহাটিগামী যাত্রীদের অনেক কষ্ট করে ট্রেনে উঠতে দেখা গিয়েছে। কোনো ধরনের সিগন্যাল ছাড়াই চালকের ইচ্ছায় ট্রেন চলাচলের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী থেকে হিলি রেলওয়ে স্টেশনে আসা রকিবুল ইসলামের নামের একজন যাত্রী বলেন, আমি রাজশাহী রেলস্টেশনে টিকিট কেটে হিলিতে এলাম। ওখানে ট্রেনে উঠতে কোনো সমস্যায় আমাকে পড়তে হয়নি কিন্তু হিলিতে আসার পর ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আমাকে ভোগান্তি পোহাতে হলো। আমি নামব নাকি ব্যাগগুলান নামাব, এটা করতে খুব কষ্ট হলো।
নাদিয়া আক্তার নামের এক যাত্রী বলেন, আমরা যারা মহিলা মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করি, আমাদের জন্য খুবই কষ্ট হচ্ছে। ট্রেন ২ নাম্বার লাইনে দাঁড়াল আমি নামতে গিয়ে ব্যথা পাইছি। সরকারের কাছে অনুরোধ, ট্রেন যেন ১ নাম্বার লাইনে দাঁড়ায়। তাতে আমাদের সুবিধা হবে।
হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশনের মধ্যে হিলি রেলস্টেশন একটি। এটা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। এখানে হিলি স্থলবন্দরসহ হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থাকায় ব্যবসার কাজে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসেন। পাশাপাশি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য রোগীরা যাতায়াত করে।