সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় সংসদে বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌভ্রমণ করা যাবে । এছাড়াও সারা দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করা হচ্ছে ।
সোমবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিলের ওপর আলোচনায় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রসঙ্গক্রমে এ কথা জানান।
বিলের ওপর আলোচনায অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা বন্দরে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, এই বন্দর থেকে গাড়ি উধাও হয়ে যায়। এখানে চুরি হয়, মাদক চোরাচালান হয়। এসব বন্ধ করতে হবে। এই বন্দরটি ২০০৮ সাল পর্যন্ত মৃত বন্দর ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে এই বন্দরটি সচল হয়। তবে যে দুষ্ট চক্র আছে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, এই আইনে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যাতে মনে হচ্ছে অনেক সমন্বয়হীনতা আছে। এটা দুর্নীতি ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করবে। দুর্নীতি ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করবে।
জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম তার বক্তব্যে মোকাব্বিরের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বুড়িগঙ্গা নদীর দখল মুক্ত করেছেন সাহসিকতার সঙ্গে। তিনি অবৈধ দখলমুক্ত করে জায়গা উদ্ধার করে সরকারের অধীনে এনেছেন। আমরা ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, বুড়িগঙ্গা দখল মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এটা আবার দখল হয়ে যেতে পারে। এতো কষ্ট করে দখলমুক্ত করা হয়েছে। এটা যেন আর দখল হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এক সময় বুড়িগঙ্গায় নৌবিহার হতো, এটা যদি এই সরকারের সময় আবার চালু হয় তাহলে ভালো হবে।
বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, বন্দরে দুর্নীতি আছে। পণ্য ছাড় করাতে বন্দরগুলো যথেষ্ট সেবা দিতে পারছে না। এর মধ্যেই ভারতকে পণ্য পরিবহনে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে ভারতের অনেক সাশ্রয় হবে। বিনিময়ে আমাদের কি আসবে?
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মৃতপ্রায় এই বন্দরকে সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু পরে জামায়াত-বিএনপি এসে আবার পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ১৩ বছরে এই বন্দরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মাসেতু হয়ে গেলে এই বন্দর অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিএনপির রুমিন ফারহানার ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগের সমালোচনা করে বলেন, ঘুষ দুর্নীতির কি সমস্যা তা আপনারা হারে হারে টের পাচ্ছেন। আপনাদের একজন পলাতক এবং একজন জেলে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। এখন আর হাওয়া ভবন নাই, হাওয়া ভবন হাওয়া হয়ে গেছে। যারা চোর অন্যদেরকে তাদের বেশি বেশি করে চোর মনে হয়। প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী ও যুগোযোগী ও দুরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে এই বন্দরের উন্নয়ন ঘটছে।