ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় রমজানের দ্বিতীয় দিনের মতো ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকার মানুষ। ইফতারি তৈরি করতে না পেরে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এ সমস্যার সমাধান কবে হবে তা জানে না তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এমনকি বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন-পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললেও তিনি কোনো আশ্বাসের খবর দিতে পারেননি।
সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুর থেকেই রাজধানীর শাহজাদপুর, বাড্ডা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, হাতিরপুল, আরামবাগ ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্যাস ছিল না বলে জানা যায়। এসব এলাকায় বাসিন্দারা গ্যাস না থাকার কারণে ইফতার সামগ্রী তৈরি করতে পারেননি। রোজার দ্বিতীয় দিনেও এমন ভোগান্তিতে পড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
পবিত্র রমজানের প্রথম দিন রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে হঠাৎ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দেয়। ওই সময় পেট্রোবাংলা গণমাধ্যমকে জানায়, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার কারণে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহে চাপ কমে যায়।
পরে পেট্রোবাংলা জানায়, বিবিয়ানার ছয়টি কূপ থেকে রোববার রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালি উঠতে শুরু করে। এর কারণে বন্ধ করে দিতে হয় উৎপাদন। এতে রাতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবু সাকলায়েন বলেন, একটা সমস্যা হয়েছে। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লোকজন যতক্ষণ সমস্যা সমাধান না হবে, টানা কাজ করে যাবে। কিন্তু কখন নাগাদ সমাধান হবে আমরা তা বলতে পারছি না। গ্যাস ফিল্ডের সমস্যাগুলো টেকনিক্যাল বিষয়, সময় নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। যখন সমাধান হবে, আমরা অবশ্যই জানাবো।