ভোক্তাকন্ঠ প্রতিবেদক: চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট ঘাটতির আশংকা করা হচ্ছে। বাজেট ঘাটতি ৪৫,৩৮০ কোটি টাকা ধরা হলেও করোনার কারণে আরও ৩০ হাজার কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় মনে করছে, এবারের বাজেট ঘাটতি মোট দেশজ উৎপাদনের বা জিডিপির ৬ শতাংশ হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমান সত্যি হলে এবারের বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, এ সময়ে সরকারকে ধার করে হলেও বেশি বেশি খরচ করতে হবে। সংগত কারণে তাই ঘাটতিটাও বড় হবে।
চলতি অর্থবছরে অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছিল জিডিপির ৫ শতাংশ বা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। এ ঘাটতিসহ চলতি অথর্বছরের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের হিসাব বলছে, বাজেট ঘাটতি জিডিপির ১ শতাংশ বা ৩০ হাজার কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়াবে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকায়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে বলেন, ‘এখন যে পরিস্থিতি তাতে বাজেট ঘাটতি বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে পথ আমরা বের করে ফেলব।’ তবে কীভাবে করবেন, তা আর খোলাসা করেননি অর্থমন্ত্রী।
একশ্রেণির অর্থনীতিবিদ ঘাটতি বাজেটের পক্ষে থাকেন কেননা, আয় কম হলে উন্নয়নকাজের জন্য ব্যয় কমে যায়, উন্নয়নকাজে ব্যয় বাড়াতেই করা হয় ঘাটতি বাজেট। উন্নয়নকাজ হলে জনগণই উপকৃত হয়।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সবকিছুর মূলে হচ্ছে রাজস্ব ঘাটতি। আগে থেকেই রাজস্ব সংগ্রহের হার কম ছিল। এখন তা কত কম হবে, অনুমান করাই মুশকিল।