ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: রাজধানীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে বিক্রি হচ্ছে দুধ, ডিম ও মাংস।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জীবন চলা অনেকটাই কঠিন হয়ে উঠেছে। টিসিবির পণ্য কিনতে তাই থাকে দীর্ঘ লাইন। অনেকে আবার ট্রাকের পেছনে দৌড়াতে থাকেন নায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়ার আশায়। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতে রমজানের প্রথম দিন থেকেই সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২০০ টাকা ও ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আজিমপুর মাতৃসদন, নয়াবাজার, সচিবালয় সংলগ্ন আবদুল গণি রোড, সেগুনবাগিচা, খামারবাড়ি গোল চত্বর, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আরামবাগ, নতুনবাজার, কালশী, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, নাখালপাড়ার লুকাস মোড় ও উত্তরার দিয়াবাড়িসহ মোট ১৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। প্রতিটি গাড়িতে দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে এই পণ্য বিক্রি।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ির সামনে কোনোটাই লাইন, আবার কোনোটায় বেলা ১২টা নাগাদই পণ্য বিক্রি প্রায় শেষ। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা শেষ হয়ে যায়।
শুধুমাত্র নিম্ন বা মধ্য আয়ের মানুষই নয়, সরকারি চাকরি করেন এমন মানুষও পণ্য কিনছেন ভ্রাম্যমান এসব গাড়ি থেকে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি গাড়ি থেকে পণ্য ক্রয় করেন ১০০ থেকে ২০০ জন। রাজধানীজুড়ে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের মধ্যে মাত্র তিন থেকে চার হাজার মানুষ ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে পণ্য কিনতে পারেন।
ভ্রাম্যমাণ গাড়ির পণ্য বিক্রির তদারকিতে থাকা ড. বিবেক চন্দ্র রায় বলেন, করোনাকালে ঢাকার বাইরে প্রথমে আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকাতে এবারই প্রথম শুরু হয়েছে। মানুষ যেন কম মূল্যে পণ্য পায়, আর ব্যবসায়ীরাও যেন চাইলেই বেশি দাম বাড়াতে না পারে- এই উদ্দেশ্যে আমাদের এ প্রচেষ্টা। মন্ত্রী ও সচিব মহোদয় আন্তরিক হয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেছেন। তবে সরবরাহের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ আসছেন পণ্য কিনতে। আজ ছুটির দিনে লোকজন কিছুটা কম। তারপরও দুপুরের আগেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের পণ্যগুলো মানসম্মত। আগামী রমজানে এই কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করতে পারবো বলে আশা করছি।