ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: শবে বরাতকে কেন্দ্র করে বেড়ে যায় গরুর মাংসের দাম। সেই থেকে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। শবে বরাতের দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর আজ শনিবারও (৯ এপ্রিল) রাজধানীতে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর মধ্যে বাজারের দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মহল্লার দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ রমজান মাসেও নাগালের বাইরে মাংসের বাজার।
জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আনিস মন্ডল বলেন, গরুর দাম বেড়েছে এ কারণে মাংসের দামও বেড়েছে। তিনি বলেন, এখন ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করছি, কিন্তু ক্রেতা কম। শবে বরাতের দিন ৭৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি, সে দিন মানুষ মাংসই পায়নি।
রামপুরা কাঁচাবাজারের মাংস বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, হাড়সহ খামারি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর দেশি গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি করছি। কারণ দেশি গরুর দাম বেশি, ৭০০ টাকার নিচে বিক্রি করলে লোকসান হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, শনিবার রাজধানীতে গরুর মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৬৮০ টাকায়। যা এক মাস আগেও ছিল ৬০০-৬২০ টাকা কেজি। এক বছর আগের একই সময়ের চিত্র ছিল আরও ভিন্ন। ওই সময় গরুর মাংসের কেজি ছিল ৫৫০-৬০০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা।
এদিকে রমজান মাসে মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে রাজধানীর ১০টি স্থানে ৫৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ৪ এপ্রিল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তারপরও গরুর মাংসের দাম কমছে না।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, কোনোভাবেই রমজান মাসে মাংসের কেজি ৭০০ টাকা হওয়া উচিত নয়। কিন্তু মাংস ব্যবসা এখন আর খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে নেই। আমদানিকারকদের হাতে চলে গেছে মাংসের বাজারের নিয়ন্ত্রণ। সরকারের উচিত বাজার তদারকি করা। তিনি বলেন, গরু দাম বাড়ছে না তারপরও কেন মাংসের দাম বাড়ছে এটা দেখা উচিত।