অনলাইন ডেস্ক: বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের একটি সুচিন্তিত ও কৌশলসমৃদ্ধ উদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন গবেষকেরা। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে এই গবেষনা খাত অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন করছেন গবেষকরা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিপিআর) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯, পরিকল্পনা এবং কোভিড–উত্তর কর্মকাণ্ড’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল লাইভ এসব কথা জানান বিশেষজ্ঞরা।
সিপিআরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম, কামাল উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য সংকটের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। প্রতিটি হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদিকে নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে কাজ করতে হবে এবং সমস্যাগুলোর সমাধান করার উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের হটস্পটগুলোর দিকে কড়া নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্টিং এবং প্লাজমাথেরাপির ব্যবস্থা যত সম্ভব তাড়াতাড়ি চালু করতে হবে।
বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির সাবেক পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির পরিমান বাড়াতে হবে। অভ্যন্তরীণ গবেষণা ও গবেষণাকাঠামো উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
সিপিআর বাংলাদেশের সিনিয়র পার্টনার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প ও বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব এবং সম্ভাব্য শিল্প খাতগুলো বন্ধ হওয়ায় আগামী অর্থবছরের সরকারের রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে গবেষণা ও উন্নয়ন শিল্প খাত হতে পারে নতুন এক চালনশক্তি, যা আন্তর্জাতিক বাজারে গবেষণাশিল্পের চাহিদা মেটাতে পারে।
এছাড়া আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক শামীমা শাহেদ এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল আহসান।