রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি,
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক যানবাহন। পণ্যবাহী এসব ট্রাক ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছে, তবু পাচ্ছে না ফেরির নাগাল। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার শতাধিক বাস ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, ঈদে বাড়তি গাড়ির চাপ সামাল দিতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঈদের আগে-পরের ১০ দিন পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের পরই দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে।
সরেজমিনে দুপুর ১২টার সময় দৌলতদিয়ায় দেখা গেছে, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। এতে প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা লাইনে চার শতাধিক যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আছে।
আরও দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য জরুরি পচনশীল পণ্যের গাড়ি সাধারণত ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ পণ্যবাহী গাড়িগুলো ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টার আগে ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে না।
সাতক্ষীরা থেকে আসা পাটবোঝাই ট্রাকের চালক নায়েব আলী শেখ বলেন, আমি গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় গোয়ালন্দ জামতলা এসে আটকে যাই। ১২ ঘণ্টা পার হলেও এখনো ফেরিঘাট থেকে তিন কিলোমিটার পেছনে আছি। আজ দিবাগত রাত ১২টা থেকে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক চালাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগে যদি ফেরি পার হতে না পারি, তাহলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। আজ দিবাগত রাত ১২টা থেকে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ট্রাকের চাপ বেড়েছে। তবে এখন যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।