অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারীর কারনে দেশের শেয়ারবাজার পুরোপুরি স্থবির হলেও থেমে নেই বিনিয়োগকারীর ঋণের সুদের চাকা। যেসব বিনিয়োগকার ঋণ করে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছিল তাদের সুদের চাকা ঘুরছে চক্রবৃদ্ধি হারে।
ঋণদাতা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো বলছে, শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অবস্থা খারাপ। অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো যদি সুদ মওকুফ না করে, তাহলে শেয়ারবাজারের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে এককভাবে সুদ মওকুফ করা সম্ভব নয়। সরকার থেকে বড় অংকের প্রণোদনা ঘোষণা থাকলেও বিনিয়োগকারীরা তার সুফল পাচ্ছে না।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারীর কারণে শেয়ারবাজার বন্ধের সময়ে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফের একটি প্রস্তাব কমিশনে উপস্থাপন করা হলেও কমিশন এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি।
শেয়ারবাজারে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বর্তমানে শেয়ারবাজারে : ১: ০.৫ হারে মার্জিন ঋণসুবিধা পান। অর্থাৎ বিনিয়োগকারী যদি ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে তাহলে সে ১০০ টাকা ঋণসুবিধা পাবেন।বিনিয়োগকারীরা বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় ঋণ নিয়ে পুঁজিও হারাতেও দেখা যায়।
জানতে চাইলে মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঋণের সুদের হারের বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। এ মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থায় নেই। তাই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেই বন্ধকালীন সময়ের জন্য ঋণের সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।