ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ঈদ উদযাপন শেষে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাত থেকেই ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। রাতে সিরিয়ালে আটকে পড়া যানবাহনগুলো এখনো মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা।
গত ৪৮ ঘণ্টায় এই রুট দিয়ে ১৫ হাজার ৫০০ যানবাহন ঢাকামুখী হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, আজ (শনিবার) সরকারি ছুটির শেষ দিন এবং আগামীকাল (রোববার) থেকে সব পোশাক কারখানা খোলায় একযোগে ঢাকামুখী হচ্ছে মানুষ। এতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন ঢাকামুখী হয়েছে। এর মধ্যে বাস ১৬৫৭টি, ট্রাক ১৪৬১টি, ছোট গাড়ি ৮৮৭৩টি ও মোটরসাইকেল পার হয়েছে ৩৪৫৪টি। এ ছাড়া প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ফেরিতে নদী পার হয়েছে।
এদিকে শনিবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে যানবাহনের সারি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জমিদার ব্রিজ পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার এলাকা ছেড়ে যায়। এতে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়ে সহস্রাধিক যানবাহন। এর মধ্যে গতকাল রাতে আটকে পড়া বাসের সাথে যোগ হয়েছে আজকের দূরপাল্লার বাসগুলো।
এ ছাড়া রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক, ছোটগাড়ি, মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেল। ফেরি পেতে পরিবহন বাসগুলোর সময় লাগছে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, এক যোগে মানুষ ঢাকামুখী হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে চাপ পড়েছে। এ ছাড়া শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটের যাত্রীবাহী বাসও এই নৌরুট দিয়ে পার করায় যানজট আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় এই নৌরুট দিয়ে সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন ঢাকামুখী হয়েছে। বর্তমানে এই রুটে ছোট-বড় ২১টি ফেরি চলাচল করছে।