অনলাইন ডেস্ক: পোশাকশ্রমিকদের মজুরি দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হলেও বর্তমানে চালু থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে ১০ শতাংশ কারখানা এখনো এপ্রিল মাসের মজুরি দেয়নি। পাওনা বেতন ও বোনাসের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ।
শিল্প পুলিশ বলছে, ৫০ শতাংশ কারখানা এখনো ঈদ বোনাস দেয়নি।ছুটির আগে বোনাস দিয়ে কারখানায় ঈদের ছুটি হবে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য বলছে, তাদের সদস্য কারখানার সংখ্যা ৪ হাজার ৬২১টি। সরাসরি রপ্তানিকারক ১ হাজার ৯২৬ টি কারখানার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১ হাজার ৮৪৪ কারখানা মজুরি দিয়েছে।
পোশাকশিল্প মালিকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর সদস্য ২ হাজার ২৮৩ টি। সরাসরি রপ্তানি করে এমন ৭৬৭ টি কারখানা মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ৫৯৫টি কারখানা তাদের মজুরি পরিশোধ করেছে।
অন্যদিকে বিকেএমইএর সদস্য ২ হাজার ২৮৩ সদস্যের মধ্যে সরাসরি রপ্তানি করে এমন কারখানার সংখ্যা ৮৩৮। তার মধ্যে ৭১টি কারখানা বন্ধ। বাকি ৭৬৭ কারখানার মধ্যে ৫৯৫টি গত বুধবার পর্যন্ত মজুরি পরিশোধ করেছে। বোনাস দিয়েছে ২০১টি কারখানা।
এর আগে গত মার্চে পোষাক শ্রমিকদের বেতন দিতে পোশাকশিল্প মালিকদের মাত্র ২ শতাংশ মাশুলে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করে সরকার। সরকারী এই তহবিল থেকে ঋণ পেতে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বিজিএমইএর ১ হাজার ৩৭৭টি কারখানা ও বিকেএমইএর ৫১৯টি কারখানা কারখানা সনদ নিয়েছে।
বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যেসব কারখানা ঋণের জন্য আবেদন করেছে, তাদের অনেকেই নানা জটিলতার কারণে এখনো মজুরি দিতে পারেনি। তার বাইরে কিছু কারখানার ঋণ আবেদন করার সক্ষমতাও ছিল না। তাই সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত হয়তো ১০-১৫ শতাংশ কারখানা মজুরি ও ভাতা দিতে পারবে না।