অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের বয়স ৬৫ বছর ছুঁই ছুঁই। আইন অনুযায়ী ফজলে কবিরের গভর্নর পদের মেয়াদ মেয়াদ বৃদ্ধির আর কোনো সুযোগ না থাকলেও ফজলে কবিরকে আবার নিয়োগ দিতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংক আইন সংশোধন করা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে,ফজলে কবির দুই বছরের জন্য নিয়োগ পেতে পারেন। এখন যেহেতু জাতীয় সংসদের কোনো অধিবেশন নেই, তাই রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এ অর্ডার সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে রিজার্ভ চুরির পর তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগ করে। এর কদিন পরেই ফজলে কবিরকে চার বছরের জন্য গভর্নর নিয়োগ দেয় সরকার। ফজলে কবির ২০ মার্চ গভর্নর হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন।সে হিসেবে এ বছরের ১৯ মার্চ তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই কবিরের মেয়াদ ৩ মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান গভর্নরের বয়সের সীমারেখা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক খাতের ক্ষতিগুলো মোকাবিলায় যতগুলো প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বাস্তবায়নের দায়িত্ব ব্যাংক খাতের। গভর্নর হিসেবে নতুন কেউ এলে বুঝতে বুঝতেই কয়েক মাস লেগে যাবে। মূল কারণ এটিই।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন গভর্নরকে মাথায় রেখে আইন বদলানোর পরিবর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে গভর্নরের বয়সসীমা কত হওয়া উচিত। তবে এটাও ঠিক যে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরেরই সর্বোচ্চ কোনো বয়সসীমা নেই।’