ভোক্তাকন্ঠ প্রতিবেদক: করোনার ভাইরাসের মধ্যেই দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে চালু রাখা হয়েছে দেশের পোষাক কারখানা গুলো। ১৬ মে পর্যন্ত যে ৬৭ শতাংশ পোশাকশ্রমিক মজুরি পেয়েছেন,তারমধ্যে ৮২ শতাংশ ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন পেয়েছেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং(সানেম) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিসের (এমএফও) এক যৌথ সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সমীক্ষায় বলা হয়, দেশের ৮২ শতাংশ নারী শ্রমিক ও ৮৪ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি পেয়েছেন। অন্যদিকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ পুরুষ যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে মজুরির টাকা তুলেছেন, নারীদের মধ্যে তার হার ৮৪ শতাংশ।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি দেওয়ার জন্য গত কয়েক মাসে বিপুল একাউন্ট খোলা হয়েছে এবং কয়েক সপ্তাহে বিপুলসংখ্যক তৈরি পোশাক কারখানা ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি দিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, পোশাকশ্রমিক ছাড়াও সব খাতের শ্রমিকদের মজুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেওয়া হলে ঝামেলা কমবে।সাধারন শ্রমিকরা ব্যাংকিংয়ের আওতায় চলে আসবেন।
উল্লেখ্য যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের ১ হাজার ৩৮৪ জন গার্মেন্টস শ্রমিকের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশই নারী।