ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশ অগ্রহণযোগ্য ও সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি বলে সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অন্যান্য শিল্প-বাণিজ্যের ন্যায় গণপরিবহণের জন্যও আর্থিক প্রণোদনা বা ভর্তুকি এবং স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
দেশে বিদ্যমান কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ফলে দুই মাসের বেশি সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকার পর ১লা জুন থেকে সীমিত পরিসরে আবার চালু হচ্ছে। দূরপাল্লার রুটে গণপরিবহনের বাস ভাড়া নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর ‘বাস ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির সভায় করোনার মহামারীর আপদকালীন সময়ে বাস ভাড়া ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব জানায়, এমনিতেই যখন দুই মাসের বেশী সময়ের জন্য লকডাউনের কারণে দেশের অধিকাংশ জনগণের আয়ের সংস্থান নেই তখন বাস ভাড়া ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি করে গণপরিবহনের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যেহেতু প্রতিটি বাসে ৫০ শতাংশ সিট খালি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাই বাস মালিকদের যেন আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি না হতে হয় সেজন্য সরকার অন্যান্য শিল্প-বাণিজ্যের ন্যায় গণপরিবহণের জন্যও আর্থিক প্রণোদনা বা ভর্তুকি এবং স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিগত কয়েক দশকের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ব বাজারে এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে, তাই বিশ্ব বাজারের সাথে দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হলে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করার আদৌ প্রয়োজন হবে না। বরং গণপরিবহণের ভাড়া কমানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে। গণপরিবহনের মালিকেরা বাস চালাতে অস্বীকৃতি জানালে সেক্ষেত্রে বিআরটিসি’র মাধ্যমে বাস চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এই দুর্যোগের সময়ে রেল ও নৌ পরিবহনখাতে ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের জন্য সরকার ও লঞ্চ মালিকদের প্রতি ক্যাব ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়।
ক্যাব মনে করে, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হলে এর প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়বে, মুদ্রা স্ফীতি দেখা দেবে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
বাস ভাড়ার বাড়তি চাপ জনগণের ওপর যেন কোনভাবেই না পড়ে তা সেজন্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।