ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বন্দরে বিভিন্ন সময় কার্নেট পি প্যাসেজ সুবিধায় বিএমডব্লিউ, মার্সেডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগোয়ার, লেক্সাস, মিতসুবিশি ব্রান্ডের ১০৮টি গাড়ির চূড়ান্ত নিলাম জুনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের কমিশনার মো. ফখরুল আলম।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কাস্টমস কমিশনার বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি পর্যটকেরা বিশেষ সুবিধায় গাড়ি এনেছিলেন। এসব গাড়ি বন্দর থেকে খালাসও নেননি, ফেরতও নিয়ে যাননি। তাই বিধি ও আইন অনুযায়ী নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আমদানি নীতি অনুযায়ী বয়স বেশি হওয়ায় এসব গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ। বিষয়টি আমরা এনবিআরকে জানাই। এনবিআর চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গাড়িগুলো নিলামের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি গাড়ির ক্যাটালগ তৈরিতে সহায়তা করেছেন। আমরা এনবিআর চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, আমরা বেসিক কাজ সম্পন্ন করেছি। গত নিলামে তিনটি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা সন্তুষ্ট। যৌক্তিক দামে ভালো গাড়ি কিনতে পেরেছেন। ম্যানুয়েল ও ই অকশন দুই পদ্ধতিতে ১০৮টি গাড়ি নিলাম হবে। ০১ জুন আগ্রহী নিলাম ডাককারীদের ই-অকশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিনামূল্যে। পাঁচ দিন সময় থাকবে বন্দরে গাড়ি দেখতে, জেটিতে নিলামকারীদের নেওয়ার জন্য গাড়ি থাকবে। নিলামের ক্যাটালগ প্রকাশ করা হবে ২৯ মে, দরপত্র জমা ১২-১৩ জুন, পে অর্ডারের হার্ডকপি জমা ১৬ জুন। ১৯ জুন মোংলা, সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও কাস্টমস হাউসে রাখা দরপত্র বাক্স খোলা হবে। ২৩-২৪ তারিখে নিলাম হবে। বিস্তারিত কাস্টমসের নিলাম শাখা থেকে জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ৮৩টি গাড়ির সিপি পেয়েছি। তাই ক্রয়, খালাস ও রেজিস্ট্রেশনে সমস্যা হবে না। কিছু গাড়ির সিপি আগে পেয়েছি। কিছু গাড়ির সিপি লাগবে না। প্রথম নিলামে না হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় নিলামে এসব গাড়ি বিক্রি করে দেব। আমাদের মূল সমস্যা কেটে গেছে। দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা নিরসন হয়েছে। আমরা আশাবাদী।
ফখরুল আলম বলেন, এ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে এগিয়ে আছি ২০ শতাংশ। যুদ্ধ, করোনাসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক।
এ সময় কাস্টম হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।