নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কুরিয়ারে আম, অন্যান্য পণ্য বা ডকুমেন্টস পরিবহনের সময় নষ্ট হলে বা কোন প্রকার ক্ষতি হলে প্রথমে সেই কুরিয়ারের যথাযথ বিভাগে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। কুরিয়ার কর্তৃপক্ষ সমাধান দিতে না পারলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে ভোক্তাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বুধবার বিকেলে কুরিয়ার সার্ভিস বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কুরিয়ার সার্ভিস এসোসিয়েশনের মধ্যে মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় কুরিয়ার সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি হাফিজুর রহমান পুলক জানান, কুরিয়ার সার্ভিসের কোন সমস্যায় ভোক্তারা সরাসরি ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করে। কিন্তু অধিদপ্তরে অভিযোগ করার আগে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরাও হয়তো ভোক্তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারি।
এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে অনুরোধ তিনি করেন, যেসব ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করবেন তাদেরকে যেন আগে স্ব স্ব কুরিয়ারে অভিযোগ করতে বলা হয়। যদি সেই কুরিয়ার সমাধান করতে না পারে তাহলে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
এই প্রস্তাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে। যেসব ভোক্তা সরাসরি অধিদপ্তরে এসে অভিযোগ করেন তাদের ক্ষেত্রে হয়তো অধিদপ্তর জানতে চাইতে পারবে যে তারা আগে কুরিয়ারে অভিযোগ করেছেন কি-না। তবে যেসব ভোক্তা অনলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন তাদের ক্ষেত্রে সরাসরি জানতে চাওয়া সম্ভব হবে না। তবে শুনানির দিন ধার্য করলে তখন হয়তো জানতে চাওয়া হবে।
ভোক্তা আইনে অভিযান চালিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসগুলোকে জরিমানা না করার জন্য অনুরোধ করেন এসএ পরিবহনের ব্যবস্থাপক।
এমন অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, আমাদের অভিযান চলবে। যেখানে অবৈধ এবং ভোক্তা স্বার্থের বিষয় থাকবে সেখানেই অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিদপ্তর। কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর সঙ্গে আমাদের মুখোমুখি কোন অবস্থান নয়। আপনারাও প্রতারিত হচ্ছেন। যেমন অনেক ভোক্তা জরিমানার ২৫ শতাংশ পাওয়ার জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ করেন। সে ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ সময় কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্দেশ্যে কিছু দিক নির্দেশনা দেন অধিদপ্তরের ডিজি।
দিক নির্দেশনা
– কুরিয়ারে কি কি সার্ভিস দেয়া হচ্ছে তার লিখিত তালিকা টাঙানো থাকতে হবে।
– আম পরিবহনের চার্জ প্রতি কেজি কত টাকা তা প্রত্যেক শাখায় উল্লেখ থাকতে হবে।
– হোম ডেলিভারির চার্জ করলে অবশ্যই হোম ডেলিভারি দিতে হবে।
– আমের ওজনের বিষয়ে বুকিং দেওয়ার সময়ই ভোক্তাকে অবহিত করতে হবে। যে আমের ওজন কিছুটা কমতে পারে।
– যানজটের হিসেব করেই ডেলিভারির সময় নির্ধারণ করে আগে থেকেই ভোক্তাকে অবহিত করতে হবে।
– আরইউ