অনলাইন ডেস্ক: করোনার প্রভাবে কমেছে দেশের সার্বিক আমদানি-রপ্তানি। আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় কমেছে ব্যাংকের কমিশন।এতে ব্যাংকগুলোর আয় কমার পাশাপাশি কমেছে ঋণ আদায়ও। আবার ব্যংকে নতুন আমানত নেই বললেই চলে। ফলে তারল্যসংকটের আশঙ্কা আছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সুদের হার কমানোয় ব্যাংকগুলোর আয় কমে গেছে। আবার দুই মাসের সুদ স্থগিতে আয়ে বড় ধাক্কা এসেছে। আমদানি-রপ্তানি ব্যবসাও মন্দা। ফলে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকগুলোর আয় কমে যাবে। টিকে থাকতে ব্যাংকগুলো খরচ কমানো শুরু করেছে, ভাড়া ও পরিচালন খরচ কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া বগাকী সব ধরনের ঋণে ৯ শতাংশ সুদ আরোপের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।এতে চলতি বছরে ব্যাংকগুলোর ১৫ হাজার কোটি টাকা আয় কমে যাবে। আবার এপ্রিল ও মে মাসের সুদকে আয় খাতে না নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়াই ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা সুদ আপাতত আয়ের খাতে যোগ করা যাচ্ছে না।
মহামারী শুরুর পর খেলাপি ঋণের ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয় জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি আদায় না হলেও কাউকে খেলাপি করা যাবে না।এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় কমেছে।তবে ঋণ আদায় কপমলেও বেড়েছে টাকা উত্তোলন।
সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বলেন, সরকার এখন বিদেশি উৎস থেকে ডলার লোন নিয়ে টাকা ও ডলারের তারল্যসংকট মেটাতে পারে। ব্যাংকগুলোর মুনাফা এভাবে কমে গেলে শেয়ারবাজারে প্রভাব পড়বে, ভীতি বাড়বে আমানতকারী ও ব্যাংকের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত নিয়ে বড় উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিদেশিরা। খেলাপি ঋণে জর্জরিত দেশে জুন পর্যন্ত খেলাপি না করার সিদ্ধান্ত একদমই ভালোভাবে নেয়নি। এতে সমস্যা আরও বাড়ল।