ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: হাসপাতালের লাইসেন্সসহ কোনো কাগজপত্র না পাওয়া,পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকা, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশসহ বিভিন্ন অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীতে চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস।
শনিবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠান চারটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। তিনি বলেন, চট্টশ্বেরী রোডের চট্টগ্রাম কসমোপলিটন হাসাপাতালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের লাইসেন্সসহ কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করত পারেনি। এইজন্য হাসপাতালটি বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশন প্রদান করেছি। তাদের কাগজপত্র থাকলে তা সিভিল সার্জন অফিসে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ডবলমুরিং থানার ডিউটি রোডের পপুলার মেডিকেল সেন্টারে দেখা যায় ব্লাড কালেকশানের জন্য কোনো পাস করা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। এক্সরে রুম ও প্যাথলিজ রুম মানসম্মত নয়। এক্সরে রুমের দেওয়ালের ঘনত্ব ৫ ইঞ্চি। ছাদে লিড শিট লাগানো নেই। এছাড়া লাইসেন্স, ভ্যাট ট্যাক্সের কাগজপত্র না থাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া এলাকার নিরুপনী প্যাথলজী ল্যাবরেটরিতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে গিয়ে রিসেপশনের সামনে রোগী বসিয়ে ব্লাড কালেকশন করতে দেখা গেছে। এছাড়া অনলাইনে আবেদন পাওয়া যায়নি, পরিবেশ ছাড়পত্র, ভ্যাট, টিন সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। এছাড়া ল্যাবরেটরিটি অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পাওয়া গেছে। যে কারণে এটিকেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, পাঁচলাইশের এস.টি.এস হাসপাতালে গিয়ে দালাল চক্রের আনাগোনা দেখা গেছে। এখানে গিয়ে দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া তারা হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে আগত ও চিকিৎসারত রোগীদের অন্যত্র চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়া ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে সেবার মূল্য প্রদর্শিত করা হয়নি। ২০২২ এর অনলাইনের আবেদন পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালের সব কাগজ সঠিক পাওয়া গেছে। এসময় তাদেরকে সেবার মূল্য প্রদর্শন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালানো হয় পলি হাসপিটালে। সেখানেও সেবার মূল্য প্রদর্শন না করায় তাদের তা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।