অর্থনীতি ডেস্ক: নতুন অর্থবছরের বাজেটে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের উৎসে আয় কর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ রসুনের দাম কমতে পারে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ ছাড় দেয়া হচ্ছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান।
স্বাস্থ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক ও করভার কমানোর পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়াতে বিলাস দ্রব্যসহ বেশকিছু পণ্যে শুল্ক ও করভার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের হাতে চলতি পুঁজির ঘাটতি লাঘবকল্পে এবং উৎসে করহার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ কতিপয় পণ্যে আমি উৎসে আয়কর কর্তনের হার কমানোর প্রস্তাব করছি।”
চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়করের হার বিদ্যমান সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ভিত্তিমূল্য নির্বিশেষে ২ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি।
রসুন ও চিনি আমদানির ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন কামাল। যার ফলে এ দুটি পণ্যের দামও কমতে পারে। উৎসে আয়কর কমানোয় এসব নিত্যপণ্যের দাম কমতে পারে।
নির্মাণ শিল্পের জন্য ব্যবহৃত রডের কাঁচামাল এমএস স্ক্র্যাপের স্থানীয় সরবরাহের ওপর উৎসে আয়কর ৫ শতাংশ কাটার পরিবর্তে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। হাঁস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানির ওপর বর্তমানের ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর কমিয়ে ২ শতাংশ করারও প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।