অনলাইন ডেস্ক: ধনীদের কেন কর ছাড় দেওয়া হয়েছে, কেন কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি হিসাব করে দেখিয়েছে, ব্যক্তিশ্রেণির আয়করের ক্ষেত্রে সরকার যে ছাড় দিয়েছে, তাতে একজন নিম্নবিত্তের কর কমবে ৫ হাজার টাকা। আর অতিধনীর কমবে ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা পর্যন্ত।
চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক বলে অভিহিত করেছে সংস্থাটি । তারা মনে করে, করোনাভাইরাসের শিক্ষা থেকে বাজেটে যে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী পদক্ষেপ দরকার ছিল, তা নেই। বরং বিনিয়োগ, রাজস্ব আদায় ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) লক্ষ্যগুলো বাস্তবতা থেকে দূরে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করার পর আজ শুক্রবার সকালে বাজেট নিয়ে নিজেদের পর্যালোচনা তুলে ধরে সিপিডি। সংস্থাটির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাজেট প্রস্তাবে সরকারের দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতা দেখা যায়। কিন্তু উদ্ভাবনের দীপ্তি নেই।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) হিসাব মেলানোর জন্য রাজস্ব আদায়ের একটি অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ বছর একজন ঋণখেলাপি, একজন করখেলাপিকেও ছাড়া হবে না, কারণ এখন সবাই ত্যাগ স্বীকার করছে—এ ধরনের একটি মনোভাব নিয়ে এগোনো যেত। তার বদলে আমরা দেখলাম কালোটাকায় ছাড় দেওয়ার মতো একটি পদক্ষেপ নেওয়া হলো।’
উচ্চ বেতনধারী বা আয় করা করা মানুষের ক্ষেত্রে ছাড় আরও বেশি। সিপিডির হিসাব বলছে, নতুন কাঠামোয় ৫ লাখ টাকা মাসিক করযোগ্য আয়ে বছরে কর ছাড় মিলবে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে ১০ লাখ টাকা আয়ে কর ছাড় ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। আর যিনি অতিধনী, যার মাসিক করযোগ্য আয় ৪ কোটি, তিনি বছর শেষে ছাড় পাবেন প্রায় ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।