সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের আওতায় আসছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৪টি জেলা। নর্দান ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড এর আওতায় প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
৭১২ কোটি ৬২ লাখ টাকার এই প্রকল্পটি বুধবার (১ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পটি জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে নেসকো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে নেসকো’র আওতাধীন এলাকায় ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। প্রকল্পটি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৪টি জেলার ৩৩টি উপজেলা দু’টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাস্তবায়ন করা হবে।
একনেকে কার্যপত্রে প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, শতভাগ রাজস্ব আদায়, সিস্টেম লস ১ শতাংশ হ্রাস, রিয়েল টাইম বিলিং পদ্ধতি চালু করা এবং ওভারবিলিং/আন্ডারবিলিং দূর করা, গ্রাহক কর্তৃক অনলাইন বিল একসেস ও পেমেন্ট এবং লোড নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন ও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার সাশ্রয় হবে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ১১ লাখ ১৩ হাজার ৬০৮টি সিঙ্গেল ফেজ ও ৮৬ হাজার ৩৯২টি থ্রি-ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, ১৩ হাজার ৬১৯টি ডাটা কনসেন্ট্রেটর ইউনিট স্থাপন, ৩টি হেড-ইন্ড-সিস্টেম ও ৭০টি হ্যান্ড হেল্ড ইউনিট স্থাপন এবং ১২ লাখ মিটারের জন্য ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও বিলিং সফটওয়্যার তৈরি করা।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় সিস্টেম লস হ্রাস করে একটি দক্ষ ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন কাঠামো তৈরির মাধ্যমে সবার জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, আধুনিক ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিবেচ্য প্রকল্পের আওতায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের মাধ্যমে সিস্টেম লস হ্রাস ও গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নের পাশাপাশি যথাসময়ে শতভাগ বিদ্যুৎ বিল আদায় করা সম্ভব হবে। যেটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এছাড়া প্রকল্পটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভিষ্ট-৭ ‘সবার জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি সহজলভ্য করা’ এর সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগ সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নেসকোর আওতাভুক্ত সব গ্রাহককে স্মার্ট প্রি-প্রেমেন্ট মিটার ব্যবহারের আওতায় আসবে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ডিজিটাইজেশন, সিস্টেম লস হ্রাস, বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নের পাশাপাশি শতভাগ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।