ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে রংপুরে আরও বেড়েছে চালের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। তবে মাছ-মাংস, তেল এবং ডালের দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে আটা, ময়দা ও ডিমের দাম।
মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বেড়েছে। এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও মঙ্গলবার ১৫৫-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে পাকিস্তানি ও দেশি মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারে দেশি মুরগি ৪৭০-৪৮০ টাকা, পাকিস্তানি ২৭০-২৮০ এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোশারফ হোসেন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকলে দাম ওঠানামা করে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি টমেটো ১০-২০ টাকা বেড়ে ৫৫-৬০, করলা ১৫-২০ টাকা কমে ২৫-৩০, শসা পাঁচ টাকা কমে ২০-২৫, চিকন বেগুন ১০-১৫ টাকা কমে ৩০-৩৫, গোল বেগুন ৪০-৪৫, পেঁপে ২৫-৩০, লেবু প্রতিহালি ১০-১৫, কাঁচা মরিচ ৩০-৪০ টাকা কমে এখন ৪০-৫০, লাউ প্রতিপিস ২৫-৩০ টাকা, কাঁচা কলা ৫-১০ টাকা কমে ২৫-৩০, ঢেঁড়শ ৫-১০ টাকা কমে ১৫-২০, বরবটি ৫-১০ টাকা কমে ২৫-৩০ টাকা, পটল ৫-১০ টাকা কমে ২০-২৫, প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া দাম কমে ২৫-৩০, চালকুমড়া আকারভেদে ৩০-৩৫ টাকা, সব ধরনের শাক ১০-১৫ টাকা আঁটি এবং দেশি পেঁয়াজ পাঁচ টাকা কমে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ও রসুনের দামও কমেছ। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির ডিম হালিপ্রতি দুই টাকা কমে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা লোকমান মিয়া বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির আমদানি বেড়েছে। এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
এদিকে, খোলা চিনি আগের মতোই ৮৫ ও প্যাকেট ৮৫, মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০, চিকন ১৩৫-১৪০, প্যাকেট আটা ৪৮-৫০ ও খোলা আটা ৪০-৪২ এবং ময়দা ৬০-৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও মঙ্গলবার তা ৫২-৫৩, বিআর-২৮ (পুরাতন) আগের মতোই ৫৮-৬০, বিআর-২৮ (নতুন) ৫৪ টাকা থেকে ৫৮-৬০, মিনিকেট ৬৮-৭০ এবং নাজিরশাইল ৭৮-৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের চাল বিক্রেতা ফিরোজ হোসেন বলেন, ভরা মৌসুমেও আমদানি কম থাকায় দাম বাড়ছে। অনেক ব্যবসায়ী গোডাউনে ধান মজুত করছেন। এ কারণে বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট দেখা দিচ্ছে।