অনলাইন ডেস্ক: করোনার মধ্যেও অর্থবছরের একেবারে শেষে এক হাজার ৮০০ কোটি (১৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স এসেছে। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক অর্থবছরে এত রেমিটেন্স আসেনি।
বিশ্বজুড়ে মহামারী চলার মধ্যেও রেমিটেন্স বাড়ায় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে। সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে বিশ্ব ব্যাংকের ২৫ কোটি ডলার ঋণ যোগ হওয়ায় রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকের পথে অগ্রসর হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরের ২৮ জুন পর্যন্ত রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ে ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে মহামারী চলায় রেমিটেন্সে তার প্রভাব না পড়ার জন্য হুন্ডি বন্ধ হওয়া অন্যতম কারণ। এছাড়া প্রণোদনা থাকায় প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাচ্ছেন।
বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশের জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
মহামারীর কারণে কোনো দেশের অর্থনীতিই স্বস্তিতে নেই। সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মী যে অঞ্চলে রয়েছে, তেলের দামের নিম্নগতিতে সেখানেও চাকরিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় রেমিটেন্সের গতি ধরে রাখতে গত অর্থ বছরে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল সরকার।