অনলাইন ডেস্কঃ
করোনার কারনে মাছের চাহিদায় ভাটা পড়েছে। গত এক মাসে চিংড়ি সহ প্রায় সবধরনের মাছের দাম কমেছে। আবার দেশের যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় হ্যাচারিগুলো তাদের পোনা মাছ বিক্রি করতে পারছে না। এতে বিপাকে পড়েছে মাছ ব্যবসায়ীরা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, গত এক মাসে দেশে নিত্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে রুই মাছের দাম, ১১ শতাংশ।
আরেক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা লাইট ক্যাসেল গত ৩০ জুন একটি জরিপ প্রকাশ করে। জরিপে বলা হয়, গত তিন মাসে রুই মাছের দাম ১১ শতাংশ ও কাতলা মাছের দাম ৩ শতাংশ কমেছে। আর পাবদা মাছে ২৩ শতাংশ ও চিংড়িতে ৫২ শতাংশ কমেছে।
রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মাছের দাম। সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। প্রতিকেজি হরিণা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়, যা আগে ৫৫০ টাকা ছিল।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘মাছের বিক্রি কমে যাওয়ায় কয়েক কোটি মৎস্যজীবীর পথে বসার মতো অবস্থা হয়েছে। মাছ বিক্রি ও ধরা কমে গেলেও করোনার কারণে জেলেরা অন্য পেশায় যেতে পারছেন না। সরকার বিভিন্ন খাতের মানুষকে প্রণোদনা দিলেও জেলেদের কোনো তালিকা দেখছি না।