অনলাইন ডেস্ক: বিদায়ী অর্থবছর ২০১৯-২০ এ করোনার কারণে মূল্যস্ফীতির অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। এ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার নিরূপিত হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৫৬ ভাগ। যা আগের অর্থবছরে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ। অর্থাৎ বিদায়ী অর্থবছরে গড়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক শূন্য আট ভাগ।
সোমবার (৬ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম
জুনে অনেক বেড়েছে মূল্যস্ফীতির হার। জুনে মূল্যস্ফীতির হার জাতীয় পর্যায়ে হয়েছে ৬ দশমিক ০২ ভাগ, যা মে মাসে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৩৫ ভাগ। ২০১৯ সালের জুনে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৫২ ভাগ। চলতি জুনে খাদ্য ও খাদ্যবর্হিভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৬ দশমিক ৫৪ ও ৫ দশমিক ২২ ভাগ, যা চলতি বছরের মে মাসে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ০৯ ও ৫ দশমিক ৭৫ ভাগ। এসব তথ্য জানায় বিবিএস।
শহর পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০৩ ভাগ আর গ্রাম পর্যায়ে শতকরা ৬ দশমিক ০২ ভাগ। জুনের মূল্যস্ফীতি হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চাল, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, শাকসবজি (আলু, পটল, বেগুন, বরবটি, ঢেঁড়স, করলা, টমেটো, গাজর, পেঁপে ইত্যাদি), মসলার (শুকনা মরিচ, আদা, রসুন ইত্যাদি) মূল্য মে মাসের তুলনায় জুনে বেড়েছে।
মজুরির হারও বেড়েছে জুনে। জাতীয় পর্যায়ে জুনে মজুরি হার হয়েছে ৫ দশমিক ৯০ ভাগ, যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ৮৯ ভাগ। জুনে তিনটি বৃহৎ খাত (কৃষি, শিল্প ও সেবা) মজুরি হার যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৮, ৫ দশমিক ৩১ ও ৫ দশমিক ৭৮ ভাগ, যা মে মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৬, ৫ দশমিক ২৯ ও ৫ দশমিক ৭৫ ভাগ