আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। তবে স্থিতিশীল ছিল তেলের বাজার। শেষ কার্যদিবসে কিছুটা দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
এপ্রিল অপরিশোধিত তেলের দামের রেকর্ড দরপতনের পরেই অবশ্য তেলের দাম বাড়তে থাকে। গত সপ্তাহের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৩৭ ডলার। পরের দিনের লেনদেনেই তা ৪০ ডলার স্পর্শ করে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে কিছুটা দাম কমে। তৃতীয় ও চতুর্থ কার্যদিবসে আবার কিছুটা বাড়ে তেলের দাম। এতে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ দশমিক ৬৫ ডলারে ওঠে। তবে শেষ কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম দশমিক ৩৩ ডলার কমে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কিছুটা দরপতন হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে তেলের দাম ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে মাসের ব্যবধানে তেলের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে বছরের ব্যবধানে এখনো তেলের দাম ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য স্বর্ণ কিনে মজুত করায় চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বর্ণের দাম বাড়ছে। দফায় দফায় দাম বেড়ে স্বর্ণের দাম গত সপ্তাহের শুরুতে ছিল প্রতি আউন্স ১৭৬৯ ডলার।
এ সপ্তাহে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ১৭৮৯ ডলারে উঠে যায়। এর ফলে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। অবশ্য তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। বৃহস্পতিবার তা কমে ১৭৭৫ ডলারে নেমে যায়।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবারও স্বর্ণের দামে কিছুটা পতন হয়। অবশ্য শুক্রবার লেনদেনের শুরুতে দাম কিছুটা বেড়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১৭৭৮ ডলারে ওঠে। কিন্তু লেনদেনের শেষ দিকে দাম কমায় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭৭৪ দশমিক ৭৯ ডলারে থিতু হয়।
মার্চে দরপতন হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি। দফায় দফায় দাম বেড়ে মে মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭৪৮ ডলারে উঠে যায়।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৭১৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৯০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৫৭ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৬১৬ টাকা বাড়িয়ে ৪৭ হাজার ৬৪৭ টাকা করা হয়।