ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজধানীর নবাবপুরে নকল, মানহীন এবং অবৈধ ভাবে বিদ্যুতের তার উৎপাদন এবং বাজারজাত করার অপরাধে লাখ টাকা জরিমানাসহ দোকান সিলগালা করে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার নবাবপুরের ইলেকট্রিক মার্কেটে তদারকি করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলাম।
এ সময় আরমান ইলেকট্রিক নামের এক দোকানে জে এস নামের বিদ্যুতের নকল তার বিক্রি করতে দেখা যায়। বিদ্যুতের জে এস নামের এসব তার কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পরে আরমান ইলেকট্রিকের দোকান মালিককে সঙ্গে নিয়ে মূলহোতাকে ধরতে অভিযানে নামেন ভোক্তা কর্মকর্তারা।
খুব বেশি দূরে যেতে হয়নি ভোক্তা কর্মকর্তাদের। পাশের একটি মার্কেটে বিদ্যুতের নকল তার তৈরির মূলহোতাকে খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে পি কে ইলেকট্রিক নামের আরও একটি দোকান থেকে এসব নকল তার নবাবপুরসহ সারাদেশের বিভিন্ন দোকানে পাইকারী বিক্রি করা হতো।
তবে পি কে ইলেকট্রিকের মালিক দাবি করেন, এসব নকল তার তৈরিতে তিনি নির্ধারিত কোন কারখানা ব্যবহার করতেন না। বিভিন্ন কারখানায় অর্ডার করে নিজের ইচ্ছেমতো নাম দিয়ে নকল তার তৈরি করতেন তিনি।
বিদ্যুতের তার তৈরির কোন প্রকার লাইসেন্স নেই, এছাড়া মান নির্ধারণের জন্য বিএসটিআই’র কোন অনুমোদন ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই নিজের ইচ্ছেমতো মানহীন নকল তার তৈরি করে আসছিলেন এই অসাধু ব্যবসায়ী।
অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘বিদ্যুতের নকল তার তৈরি করার অপরাধে পি কে ইলেকট্রিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং জনস্বার্থে পি কে ইলেকট্রিকের সব রকম কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দোকান সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দোকান মালিক স্বশরীরে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারলে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। অন্যথায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের নকল তার বিক্রিতে সহায়তা করায় আরমান ইলেকট্রিক নামের প্রতিষ্ঠানকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’