ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দুই কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে খরচ হবে ৫০৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৪ টাকা ৮৪ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৩ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, সুং শিং এডিবল অয়েলের কাছ থেকে কেনা হবে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল। এক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম ধরা হয়েছে ১৮৪ টাকা ৫০ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এছাড়া সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৫ টাকা ৯৫ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ২০৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় প্রতি লিটার তেলের দাম ধরা হয় ১৫৬ টাকা ৯৮ পয়সা।
তার আগে ১০ নভেম্বর টিসিবির জন্য ব্রাজিল থেকে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ ধরা হয় ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৬২৫ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৭ টাকা।
গত ৩ নভেম্বর টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে খরচ ধরা হয় ৮৯ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতিকেজি সয়াবিনের দাম ধরা হয় ১৬২ টাকা ৯৪ পয়সা।
তার আগে ১৯ অক্টোবর টিসিবির জন্য এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ঢাকা মেঘনা ভোজ্যতেল শোধনাগার লিমিটেড কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি লিটারের দাম ধরা হয় ১৭১ টাকা ৮৫ পয়সা।
এছাড়া ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট খরচ ধরা হয় ৮৭ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের দাম ধরা হয় ১৫৯ টাকা ৯৫ পয়সা।
তারও আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় টিসিবির মাধ্যমে দেশীয় তিন কোম্পানি থেকে এক কোটি ৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তেল কিনতে খরচ ধরা হয় ৩০৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এই তেল কিনতে খরচ ধরা হয় ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এছাড়া সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং মেঘনা এডিবল অয়ের রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ডের আওতায় একজন কার্ডধারীর কাছে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, এক কেজি মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়-সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয়।