ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর ধারাবাহিকতায় পেট্রোল পাম্পে অভিযান পরিচালনা করে অধিদপ্তর।
জ্বালানী তেল বিক্রির সময় ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্রাহকদের দেয়া তেলের পরিমাণ তদারকি করা হয় এই অভিযানে।
রোববার (৭ আগস্ট) ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে দুটি টিম রাজধানীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালায়।
এর আগে শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয়ের ঘোষণা দেয় সরকার। এর পরেই রাজধানীর মিরপুরের এসপি ফিলিং অনৈতিক মুনাফা লাভের আশায় গত ৫ আগস্ট রাতে জ্বালানী তেল বিক্রয় বন্ধ রাখে বলে অভিযোগ ওঠে। রোববার এ তথ্যের সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
এ ছাড়া বেশি দামে এলপি গ্যাস বিক্রয় এবং সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স না থাকায় দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকার গ্রীন হাউস এন্টারপ্রাইজকে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের আরেকটি টিম রাজধানীর মতিঝিল, সায়দাবাদ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালায়। এদের মধ্যে মতিঝিলের মেসার্স এইচ কে ফিলিং স্টেশন, এ হাই এন্ড কোং, যাত্রাবাড়ীর ক্যাব এক্সপ্রেস (বিডি) লি. ফাতেমা নাজ পেট্রোল পাম্প এন্ড সিএনজি ফিলিং হাইজ সহ ৬টি ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালিয়ে পরিমাপ যাচাই করা হয়। তবে সবকটি পেট্রোল পাম্পে সঠিক মাপ পাওয়া যায়।
অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল, মাগফুর রহমান, মোঃ শরীফুল ইসলাম, মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।